ঢাকা শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

বৃহত্তর ঐক্যে, কী হচ্ছে, কী হবে  


গো নিউজ২৪ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০১৮, ০৯:২৪ এএম
বৃহত্তর ঐক্যে, কী হচ্ছে, কী হবে  

ঢাকা: শেষ পর্যন্ত কী হবে বলা মুশকিল। তবে দুই-চার দিনের মধ্যেই অনেক কিছু খোলাসা হয়ে যেতে পারে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে এক ছাতার নিচে আনতে দীর্ঘদিন ধরেই তৎপরতা চলছে। বারবার এই প্রচেষ্টা হোঁচটও খেয়েছে। তবে এর উদ্যোক্তারা এখন বলছেন, তারা সাফল্যের কাছাকাছি রয়েছেন।

এদিকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্যের জন্য প্রাথমিকভাবে ১০টি প্রস্তাব তৈরি করেছে বিএনপি। ঈদুল আজহার আগে-আগে এসব প্রস্তাব অনানুষ্ঠানিকভাবে আগ্রহী দলগুলোর কয়েকজন নেতার হাতে দেওয়া হয়েছে। আলোচনা সাপেক্ষে এই ১০ প্রস্তাবের আকার আরো বাড়তে বা কমতেও পারে। একাধিক নির্ভরযোগ্যসূত্রে এ দশ দফার বিষয়ে জানা গেছে।

দশটি প্রস্তাবের শিরোনামে বলা হয়েছে, বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে নিম্নে উল্লিখিত দাবিগুলোরর ভিত্তিতে আমরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারি।

দাবিগুলো:

এক. বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজনৈতিক নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি, সাজা বাতিল ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার নিশ্চিত করা।

দুই. একটি গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন।

তিন. সব রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অবসান।

চার. রাষ্ট্রকে দলীয়করণের ধারার বদলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আইনের শাসনের প্রতিষ্ঠা।

পাঁচ. রাষ্ট্র ক্ষমতার গ্রহণযোগ্য ভারসাম্য।

ছয়. স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ক্ষমতা নিশ্চিত করা।

সাত. দুর্নীতি প্রতিরোধে দায়িত্বরত প্রতিষ্ঠানগুলোকে যথাযথভাবে কার্যকর করা।

আট. সব নাগরিকের মৌলিক মানবাধিকারের নিশ্চয়তা।

নয়. সর্বনিম্ন আয়ের নাগরিকদের মানবিক জীবন নিশ্চিত করে আয়ের বৈষম্যের অবসান।

দশ. রাষ্ট্রের সর্বস্তরে সুশাসনের প্রতিষ্ঠা।

আরো পড়ুন: আসছে নতুন মোর্চা, নেতৃত্বে কে? 

বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, এই ১০ প্রস্তাবের ভিত্তিতেই বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে চায় বিএনপি। ঈদুল আজহার আগে গত ১১ আগস্ট  ও ১৩ আগস্ট দুই দিনের জরুরি বৈঠকের পর এই ১০ দফার চূড়ান্ত করে স্থায়ী কমিটি। এরপর এই প্রস্তাবের কপি ড. কামাল হোসেনের কাছে পৌঁছানো হয়। পরে ঐক্যে আগ্রহী বিকল্প ধারা, নাগরিক ঐক্য, জেএসডির কয়েকজন নেতাকেও দেওয়া হয় এই প্রস্তাব। তবে প্রস্তাবের বিষয়ে ঐক্যে আগ্রহী কোনো নেতা প্রকাশ্যে কিছু বলতে নারাজ।  

প্রসঙ্গত, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষ্যে বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য গড়ার চেষ্টা চলছে গত দু'বছরের বেশি সময় ধরে। বিএনপির সঙ্গে ঐক্যে আগ্রহী দলগুলো হচ্ছে—ড. কামাল হোসেনের গণফোরাম, সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিকল্প ধারা, আ স ম রবের জেএসডি, মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য। এই প্রক্রিয়ায় শুরু থেকে থাকলেও কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়।

আগামীকাল মঙ্গলবার ড. কামাল হোসেনের বাসায় একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এ বৈঠক থেকেই নতুন খবর আসবে, এমন তথ্য জানিয়ে ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ভালো খবর আসবে, অপেক্ষা করুন।

অন্যদিকে নির্বাচন ঘিরে চারদিকেই ছোট–বড় দলগুলো মিলে জোট করার তোড়জোড় শুরু করেছে। সেখানে আওয়ামী লীগ বা বিএনপি উভয়েই বিভিন্ন দিকে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। যুক্তফ্রন্ট ও গণফোরাম মিলে বিএনপির সঙ্গে একটি জাতীয় ঐক্য গড়ার আলোচনা চলে আসছে অনেক দিন থেকেই। এই আগস্টেই তার একটি ঘোষণা আসার কথা ছিল। তবে আসন ভাগাভাগি ও ছোট দলগুলোর নানান শর্তে বিএনপির সঙ্গে পরবর্তী সময়ে আর আলোচনা এগোয়নি।

একাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে হাতে আছে শুধু সেপ্টেম্বর মাস। মাঝে কিছুটা ঝিমিয়ে গেলেও ঈদের আগ দিয়ে বিভিন্ন দল আবার তৎপর হয়ে হয়ে ওঠে।

গো নিউজ২৪/এমআর

রাজনীতি বিভাগের আরো খবর
রিজার্ভ বাড়াতে এবার ডলার ধার করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

রিজার্ভ বাড়াতে এবার ডলার ধার করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

সংরক্ষিত নারী আসনে আ.লীগের টিকিট চান তারকা, মন্ত্রী-এমপিদের স্ত্রী, হিজড়া

সংরক্ষিত নারী আসনে আ.লীগের টিকিট চান তারকা, মন্ত্রী-এমপিদের স্ত্রী, হিজড়া

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে নিয়ে যা যা করলো ছাত্রলীগ নেতারা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে নিয়ে যা যা করলো ছাত্রলীগ নেতারা

খালেদা জিয়া ও বিএনপির জন্য দারুণ সুখবর

খালেদা জিয়া ও বিএনপির জন্য দারুণ সুখবর

ইসলামী আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

ইসলামী আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

এমপি হিসেবে শপথ নেয়ার পর এক টাকাও আমার হাতে আসে নাই : সুমন

এমপি হিসেবে শপথ নেয়ার পর এক টাকাও আমার হাতে আসে নাই : সুমন